আজ ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ছিল সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের অপারেশন অর্ডার’

Spread the love

চট্টগ্রামে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের আলোচনা সভায় বক্তারা

সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর শাখার উদ‍্যোগে “৭ মার্চ ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস’ পালনোপলক্ষে আলোচনা সভা আজ ৬ মার্চ বুধবার বিকেলে নগরের দোস্তবিল্ডিংস্থ সংগঠন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজনীতিবিদ নুরুল আলম মন্টু’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকীর পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোজাফফর আহমদ। প্রধান আলোচক ছিলেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার। বক্তব্য রাখেন মহানগর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম চৌধুরী,বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদশা মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌরীশংকর চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা রমিজ উদ্দিন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এডভোকেট ইফতেখার রাসেল, আবদুল মালেক খান, শাহেদ মুরাদ শাকু, এডভোকেট সাইফুন নাহার খুশি, জসীম উদ্দিন,হাজী সেলিম রহমান, মনোয়ার জাহান মনি, শফিকুর রহমান, মঈনুল আলম খান, পংকজ রায়,আশেক মাহমুদ মামুন, রাজীব চন্দ, দীপন দাশ, নাসির আলী খান পান্না, আবদুর রহিম, মফিজুর রহমান, কোহিনুর আকতার মুন্নী, ইসমে আজিম আসিফ, মহিউদ্দিন আহমেদ মহির, জহির খান, রাশেদুল আলম, আবদুল্লাহ কাদের জুয়েল, জয়নুদ্দীন আহমেদ, জয়নাল আবেদীন লিটন, মোহাম্মদ মুন্না, মোঃ কাওসার প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ এর ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর অনবদ্য ভাষণটি ছিল প্রকৃতপক্ষে আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং একই সাথে “সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের অপারেশন অর্ডার”। একজন রাজনৈতিক নেতা হয়েও বঙ্গবন্ধু ‘মুক্তিযুদ্ধের সুপ্রিম কমান্ডার’ হিসেবে একটি চমৎকার যুদ্ধ পরিকল্পনা দিয়েছিলেন ভাষণে । বঙ্গবন্ধু জনতার উত্তাল মহাসমুদ্রের মাঝে দাঁড়িয়ে, কোনও বিরতি ছাড়া, লিখিত নোট ছাড়া এবং কারো কোনও সহায়তা ছাড়া একটি জনযুদ্ধের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এই ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি ছিল একটি বিপ্লব, যা’ পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের শোষণ বঞ্চনার বিরুদ্ধে স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের রক্ত পিচ্ছিল পথ পেড়িয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সুত্রপাত ঘটায় এবং দীর্ঘ নয় মাসের প্রাণপণ লড়াইয়ের পরে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত হয়। আর একারণেই, দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের অধিক সময় পরেও ৭ মার্চের ভাষণটি আজও বাঙ্গালির জাতীয় জীবনে এতো তাৎপর্যপূর্ণ। যা অনন্তকাল বিশ্বের মুক্তিকামী সংগ্রামী মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর